দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বিসিক একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান ।এ করপোরেশন ১৯৫৭ সালে এক সংসদীয় আইনের বলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (ইপসিক) নামে প্রতিষঠা লাভ করে । স্বাধীনতা উত্তরকালে এ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এ রুপান্তরিত হয় ।শিল্প সহায়ক কেন্দ্র বিসিক, শেরপুর উক্ত করপোরেশনের আওতাধীন জেলা পর্যায়ের কার্যালয় ।
যুগের চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের নতুন নকশা (Design) তৈরি, কাঁচামালো যন্ত্রপাতি আমদানি এবং সেগুলো বেসরকারী ঊদ্যোক্তাদের মধ্যে বিতরণের মতো বানিজ়্যিক কার্যক্রম দিয়ে বিসিকের গোড়াপত্তন হয়।১৯৬০’র দশকের মাঝামাঝিতে এসে বিসিক ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোক্তাদের মাঝে ঋণ বিতরণ কার্যক্রমের পাশাপাশি শিল্পনগরী স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করে, যা এখনো চলমান। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে ১৯৭২ সনে এসে ঋণদান ও শিল্পনগরী কার্যক্রমের সঙ্গে বিসিক সুতা, রঙ ও বস্ত্র শিল্পের অন্যান্য কাঁচামাল আমদানি করে তা উদ্যোক্তাদের মাঝে ন্যায্য মূল্যে বিতরণ শুরু করে।
১৯৮০’র দশকে বিসিক ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতের সকল শ্রেণির উদ্যোক্তা এবং সকল এলাকা ও পণ্যের উন্নয়নের দিকে মনোযোগ নিবদ্ধ করে। এরই ফলশ্রুতিতে বর্তমানে ৬৪টি জেলার প্রতিটিতে একটি করে শিল্প সহায়ক কেন্দ্র (শিসকে) রয়েছে। বিসিক এর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উদ্যোগে দেশে প্রচুর শিল্পোদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে। যার মাধ্যমে শিল্পোদ্যোক্তা চিহ্নিতকরণ, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের নিবন্ধন, কর-শুল্ক ইত্যাদি মওকুফের সুপারিশ, কাঁচামাল ও মোড়ক সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে প্রাধিকার নির্ধারণের সুপারিশ, ঋণ কার্যক্রম, নকশা-নমুনা বিতরণ ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের দ্রুত উন্নয়ণের মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র ও বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতের অবদানকে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করাই বিসিকের কর্মকান্ডের প্রধান উদ্দেশ্য। বিসিক শিল্প সহায়ক কেন্দ্র, শেরপুর তারই একটি অবদান। শিল্প সহায়ক কেন্দ্রের সেবামূলক কার্যক্রম সমগ্র জেলায় বিস্তৃত রয়েছে। এছাড়া অত্র জেলায় ১৫ একর জমির উপর একটি স্বয়ং সম্পুর্ণ শিল্প নগরী চালু রয়েছে।
এক নজরে বিসিক শিল্পনগরী, শেরপুর
০১। শিল্প নগরীর স্থাপনকাল ঃ জুলাই ১৯৮৭ হতে জুন ২০০০ খ্রি:।
০২। প্রকল্প ব্যায় ঃ ৩১১.০০ লক্ষ টাকা ।
০৩। জমির মুল্য ঃ ( প্রতি একর = ২০০.০০ লক্ষ টাকা )।
০৪। মোট জমির পরিমান ঃ ১৫.০০ একর ।
০৫। প্রশাসনিক ভবন, পাম্প হাউজ ও সবুজ চত্বর ঃ ৩.১৫ একর ।
০৬। রাস্তা ও ড্রেনের অন্তর্ভুক্ত জমির পরিমাণ ঃ ২.৮৬ একর
০৭। প্লটের অন্তর্ভুক্ত জমির পরিমান ঃ ৯.০৯ একর ।
০৮। মোট প্লট সংখা ঃ ১০৭টি
০৯। মোট বরাদ্দকৃত প্লট সংখা ঃ ১০৭ টি ।
১০। মোট শিল্প ইউনিট সংখা ঃ ৩৬ টি ।
১১। মোট উৎপাদনরত শিল্প ইউনিট সংখা ঃ ২৫টি ।
১২। মোট নির্মানাধীন শিল্প ইউনিট সংখা ঃ ০২ টি ।
১৩। রুগ্ন/বন্ধ শিল্প ইউনিট সংখা ঃ ০২ টি ।
১৪। আপিল আবেদন ঃ ০৩ টি
১৫। মামলাধীন ঃ ০৪ টি
১৬। মোট কর্মসংস্থান ঃ ৫২০ জন ।
১৭। প্লটের আকার আয়তন ও সংখাঃ
ক্রমিক নং |
টাইপ |
আকার |
আয়তন |
সংখা |
মন্তব্য |
০১ |
০২ |
০৩ |
০৪ |
০৫ |
০৬ |
০১। |
এ টাইপ |
৯০¢×৫০¢ |
৪৫০০ বর্গফুট |
৭০ টি |
- |
০২। |
বি টাইপ |
৭৫¢×৪০¢ |
৩০০০ বর্গফুট |
১৪ টি |
|
০৩। |
এস টাইপ |
- |
- |
২৩ টি |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস